বিপিএল ২০১৩ :: চিটাগং কিংসের প্রয়োজন ছিল তিন রান, দুরন্ত রাজশাহীর তিন উইকেট। কিংস
উইকেটগুলো হারিয়ে ম্যাচ হারলো দুই রানে। দুরন্ত রাজশাহী জিতলো, জিতলেন
তামিম ইকবালও।
দুরন্ত রাজশাহী: ৯৯/৯ (২০ ওভার)
চিটাগং কিংস: ৯৭/১০ (১৯.৩ ওভার)
ফল: দুরন্ত রাজশাহী দুই রানে জয়ী
চিটাগং কিংস: ৯৭/১০ (১৯.৩ ওভার)
ফল: দুরন্ত রাজশাহী দুই রানে জয়ী
কিংস প্রথম আসরের পাওনা বুঝিয়ে না দিলেও তামিম ঠিকই সুদে আসলে তুলে
নিয়েছেন। ৯৯ রানের ছোট্ট পুঁজি নিয়েও আসাধারণ নেতৃত্বগুণে ম্যাচটা বের করে
নিলেন জাতীয় দলের ওপেনার। এই ম্যাচ তো তাদের জেতারই কথা নয়। বরং মিস
ফিল্ডিং করে পরাজয়ই ডেকে আনছিল রাজশাহী।
১৯তম ওভারে জিয়াউর রহমান সহজ ক্যাচ ফেলেন। মার্শাল আয়্যুব জীবন পেয়েও
খেলা শেষ করে আসতে পারেননি। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ে পেসার শিন আরভিনকে
বোলিংয়ে এনে দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিলেন তামিম। আরভিন ওভারের প্রথম
বলেই ক্যাচ বানালেন মার্শালকে। দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে খেলার উত্তেজনা বাড়িয়ে
দেন আবুল হাসান। পরের বলেই এনমুল হক জুনিয়রকে তামিম রানআউট করায় জয়ের
সুবাস পেতে থাকে রাজশাহী। আরভিনের তৃতীয় বলে আরাফাত সানি স্কুপ খেলতে গিয়ে
বোল্ড হলেন। এই উইকেট পতনের মধ্যদিয়ে রাজশাহী খুশিতে ফেটে পড়ে।
মাহমুদউল্লাহ’র আউটের পরই মুলত হেরে গেছে কিংস। দিন শেষে অধিনায়কের ৪২
বলে ৪০ রানের ইনিংসের কোন মূল্যই রইলো না। দলের পরাজয়ের সঙ্গে মেহরাব হোসেন
জুনিয়রের ১৮ রানও বঙ্গোপসাগরে ভেসে গেছে। ১০ উইকেটে ৯৭ রান শেল হয়ে থাকলো
চিটাগংয়ের মানুষের জন্য।
আরভিন ১.৩ ওভার বল করে ছয় রানে নিয়েছেন দুটি উইকেট। শেষ ওভারের তিন বলের
স্পেলের জন্য তিনিই ম্যাচ সেরা। যদিও আবুল হাসান রাজু চার ওভারে ২০ রানে
তিন উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষের পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
ঢাকার পরে এখন পর্যন্ত চিটাগং কিংসই দ্বিতীয় সেরা। রাজশাহীর বিপক্ষে
তারাই ফেভারিট ছিল। কোন রকমে ১১ জন নিয়ে খেলতে নামা রাজশাহী হিসেব পাল্টে
দেয়। তামিম আগের দিনই বলেছিলেন টি-টোয়েন্টিতে অনুমান খাটে না। সেটাই হয়েছে
তামিমের চৌকষ নেতৃত্বে।
রাজশাহী আগে ব্যাট করতে নেমে কিংসের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে। অলআউট না
হলেও স্লো ব্যাটিংয়ে ৯ উইকেটে করে ৯৯ রান। যেখানে তামিমের ১৭, জিয়ার ১৩ এবং
মুক্তার আলী অপরাজিত ২২ রান রয়েছে। কিংসের রবি বোপরা এবং মাহমুদউল্লাহ
দুটি করে উইকেট নেন।
No comments:
Post a Comment